সম্পূরক খাদ্যনির্ভর ভেটকি মাছের
পোনা প্রতিপালন পদ্ধতি
মোঃ তোফাজউদ্দীন আহমেদ
বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে সাগর উপকূলের স্বল্প লোনা পানির মাছের মধ্যে ভেটকি একটি সুস্বাদু, জনপ্রিয় এবং বাণিজ্যিকভাবে অতিব গুরুত্বপূর্ণ মাছ। অধিক লবণাক্ততা ও তাপমাত্রা সহনশীল হওয়ায় উপকূলীয় ঘেরে এ মাছ চাষের জনপ্রিয়তা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ মাছ উচ্চ প্রোটিনসমৃদ্ধ, ক্ষতিকারক চর্বি নেই। উপকূলীয় এলাকায় চিংড়ি ও অন্যান্য মাছের সাথে এ মাছ মিশ্রভাবে চাষ হচ্ছে। বিদেশে এবং দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে ব্যাপক চাহিদা ও বাজারমূল্য বেশি থাকায় চিংড়ি চাষের পাশাপাশি স্বল্পলোনা পানির এই মাছচাষ চাষিদের জন্য সম্ভাবনার নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে। বর্তমানে দেশের কক্সবাজারের গ্রিনহাউজ হ্যাচারি লিঃ ভেটকি মাছের পোনা উৎপাদনে সফল হয়েছেন এবং সম্পূরক খাদ্যনির্ভর পোনা সরবরাহ করছে। এ সফলতার মাধ্যমে ভেটকি মাছচাষের একটি বড় প্রতিবন্ধকতা দূর হলো। ওয়ার্ল্ড ফিশ সেন্টার ও বাংলাদেশ শ্রিম্প এন্ড ফিশ ফাউন্ডেশন এর মাধ্যমে দেশের বেশ কয়েকটি স্থানে থাইল্যান্ড থেকে আমদানিকৃত পোনার মাধ্যমে সম্পূরক খাবারনির্ভর ভেটকি মাছের চাষ বেশ সফলতার সাথে এগিয়ে চলেছে।
এরা মাংসাশী এবং স্বজাতিভোজী (ঈধহহরনধষরংস)। এ জন্য এ মাছের রেণু হতে পুকুরে চাষের প্রতিটি পর্যায়ে অধিক আমিষ সমৃদ্ধ (< ৫০%) সম্পূরক খাবার ব্যবহার করতে হয়। বিশেষ করে পোনা প্রতিপালনের সময় অধিকতর আমিষ সমৃদ্ধ খাবার ব্যবহার করতে হয় এবং ছোট বড় পোনা আলাদা করতে হয়। ভেটকি মাছের পোনা প্রতিপালন ব্যবস্থা সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য এ মাছের পোনা প্রতিপালন স্পষ্ট তিনটি স্তরে সম্পন্ন করতে হয়।
পোনা প্রতিপালনের প্রথম স্তর
হ্যাচারিতে প্রণোদিত প্রজননের মাধ্যমে প্রাপ্ত ডিম ফোটার পর থেকে ১.০০-১.৫০ সেমি আকার পর্যন্ত প্রতিপালন স্তর। এ স্তরটি আমাদের দেশে ভেটকির হ্যাচারিতে সম্পন্ন করতে হয় কারণ এ সময় ভেটকির পোনাকে বিশেষ ধরনের খাবার দেবার প্রয়োজন হয়। প্রাথমিকভাবে জীবন্ত খাবার (এলগি, রোটিফার ও আরটিমিয়া ইত্যাদি) এবং পরের দিকে উচ্চ আমিষ সমৃদ্ধ পাউডার খাবার। এ পর্যায়ের প্রতিপালন সিমেন্টের সিস্টার্নে করতে হয় এবং নিবিড় পরিচর্যা করতে হয়। এখানে এ্যারেশন (অক্সিজেন সরবরাহ) এবং পরিশোধিত লবণাক্ত পানি ব্যবহার হয় এবং নিয়মিত
বিরতিতে পানি পরিবর্তনের প্রয়োজন হয়,
প্রতিদিন হাউজের তলার ময়লা বের করে দিতে হয়। কঠোর বায়েসিকিউরিটি বজায় রাখতে হয়। এখানে ব্যবহৃত পানি অবশ্যই জীবাণু মুক্ত হতে হবে। পোনা যখন একে অপরের খাওয়া শুরু করে তখন বড় ছোট আলাদা করা লাগে। এ জন্য এ মাছের পোনার এ পর্যায়ের চাষ চাষিপর্যায়ে বাস্তবায়ন আপাতত সম্ভব নয়। এ স্তরে পোনাকে প্রায় ৩০ দিন প্রতিপালন করতে হয়।
পোনা প্রতিপালনের দ্বিতীয় স্তর
পাকা হাউজে : এই স্তরে ১.৫ সেমি. থেকে ৩.০ সেমি. পর্যন্ত প্রতিপালন স্তর। এ পর্যায়ে আগের মতো হাউজে বা প্লাস্টিকের ক্যান্ভাস ট্যাংকে প্রতিপালন করা যায়। এখানে পানির গভীরতা ১ মিটার রাখতে হবে। পোনা প্রতি টনে ১০০০-১৫০০টি পর্যন্ত রাখা যায়। এখানে ৩-৫ টনের হাউজ ব্যবহার করা ভাল কারণ ভেটকি স্বজাতিভোজী বলে ছোট মাছকে বড় মাছ খেতে শুরু করে। তবে এ কাজটি একটি বড় আকারের হাউজের মধ্যে ৩ এমএম ফাসের নেটের (২মি.ী১.৫মি.ী১ মি) হাপাতে করলে পোনার গ্রেডিং এর কাজটি সহজ হয়। পোনা ৭-১০ দিন পরপর ছোট বড় আলাদা করে নতুনভাবে হাউজে মজুদ করতে হয়। এ সময় ধীরে ধীরে ডোবে (ঝড়ষড়ি ঝরহশরহম) এরূপ দানাদার (০.৫-০.৮ এমএম) খাবার খওয়াতে হয় এবং দিনে ৪-৬ বার খাবার দিতে হয়। ভোর ৫টা থেকে রাত্র ১০ ঘটিকা পর্যন্ত এ খাবার দিতে হবে। এ সময় প্রতিবার খাবার দেবার সময় ৩০-৪৫ মিনিট ধরে ধীরে ধীরে খাবার দিতে হয়। ধীরে ধীরে খাবার দেবার উদ্দেশ্য হলো খাবার যেন অপচয় না হয়। হাউজের নির্দিষ্ট স্থানে নিয়মিত এক সময়ে এমনভাবে খাবার দিতে হবে যেন খাবার হাউজের তলদেশে যাবার আগেই পোনা ধরে খেয়ে ফেলতে পারে। প্রতিবার খাবার দেবার পরে হাউজের তলদেশ পরিষ্কার করতে হবে কারণ পোনার পায়খানা এবং উদ্বৃত্ত খাবার পচে হাউজের পানির পরিবেশ নষ্ট করে ফেলতে পারে। এ সময় পানির অবস্থা বুঝে পরিশুদ্ধ পানি দ্বারা পরিবর্তন করতে হয়। পোনা প্রতিপালন এর প্রতিটি স্তরে এ্যারেশন এর ব্যবস্থা রাখতে হবে। এই স্তরেও কঠোরভাবে বায়োসিকিউরিটি বজায় রাখতে হবে।
পুকুরের মাঝে হাপা স্থাপন করা : এ স্তরের পোনা প্রতিপালন কাজ পুকুরেও করা যেতে পারে, সেক্ষেত্রে পুকুরটি ভালভাবে প্রস্তুত করে নিতে হবে। দ্বিতীয় স্তরে পোনার আকার ৪.০-৪.৫ সেমি. হবে এবং এ আকারের পোনা উৎপাদনে আরো ১ মাস প্রতিপালন করতে হয়।
পোনা প্রতিপালনের তৃতীয় স্তর
পোনার আকার ৪ সেমি. হলে চাষের পুকুরে বা অন্য যে কোন পুকুরে হাপা স্থাপন করে প্রতিপালন করতে হবে। এ সময় হাপা ৬ এমএম ফাসের নেটের (২মি.ী২মি. ী১মি.) হলে ভাল হয়। হাপায় প্রতি ঘনমিটার ২০০টি পোনা মজুদ করতে হয়। এ পর্যায়ে পোনার আকার বৃদ্ধি পেয়ে হবে ১২-১৪ সেমি. এবং ওজন লাভ করবে প্রায় ৬০ গ্রাম। এ আকরের পোনার মাঝে স্বজাতিভূজিতা কমে আসে। এ আকার হলে পোনা চাষের পুকুরে মজুদ উপযুক্ত হয়।
পোনা প্রতিপালনের পুকুর নির্বাচন : পোনা প্রতিপালন হাপা স্থাপনের জন্য পুকুরটির আয়তন ৩০-৫০ শতকের হলে ভাল হয়। পুকুরের পানির গভীরতা হতে হবে কম পক্ষে ১.৫ মিটার। পুকুরটি খোলা মেলা হতে হবে। পর্যাপ্ত সূর্যের আলো থাকতে হবে। পুকুরের পানির লবণাক্ততা ০-১০ পিপিটি পর্যন্ত হতে পারে; পিএইচ ৭.৫০-৮.৫০ থাকলে ভাল হয়; তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সে. এর উপরে থাকতে হবে; এ্যামোনিয়ার পরিমাণ ০.০২ পিপিএম এর কম থাকতে হবে (এগুলো মেশিন দিয়ে মাপতে হবে); পুকুরটিতে মাছচাষ কার্যক্রম সহজভাবে পরিচালনার জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল থাকতে হবে; কাছাকাছি বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা থাকতে হবে।
পুকুর প্রস্তুতি : অন্যান্য মাছের রেণু চাষের ন্যায় এ মাছের পোনা প্রতিপালনের জন্য পুকুর শুকিয়ে তলদেশের কাদা অপসারণ করে নিতে হবে, পুকুরের পাড় মেরামত করতে হবে। ভেটকি মাছের পোনা প্রতিপালনের জন্য অবশ্যই পুকুরের তলদেশের পেড়ি বা তলদেশের কাদা অপসারণ করতে হবে। কাদা অপসারণের পর পুকুর শুকালে পুকুরের তলা হাল দিয়ে মাটি আলগা করে দিতে হবে। এর ফলে মাটির তলায় আবদ্ধ ক্ষতিকর গ্যাস, রোগ-জীবাণু অপসারিত হবে। তলায় এ সময় শতকে ১ কেজি হারে পাথুরে চুন (ঈধষপরঁস ঙীরফব) দিতে হবে। এসময় পুকুরের চারিদিকে নীল নেটের বেড়া মজবুত করে স্থাপন করতে হবে যাতে ক্ষতিকর মৎস্যভূখ প্রাণী প্রবেশ করতে না পারে। এর পরে পুকুরে পানি ঢুকাতে হবে এবং পানির সাথে কোন প্রকার ক্ষতিকর প্রাণী ও পোকামাকড় প্রবেশ করতে না পারে এ জন্য পানি ভাল করে ছেঁকে ঢোকাতে হবে। পানি প্রবেশের পর শতকে ০.৫-১.০ কেজি হারে ব্লিচিং পাউডার দিয়ে প্রতিদিন পুকুরের তলদেশ আলোড়িত করে দিতে হবে। এভাবে ৫-৬ দিন আলোড়িত করলে পানি থেকে অতিরিক্ত ক্লোরিন বের হয়ে যাবে।
পুকুরে হাপা স্থাপন : পুকুরে পোনা মজুদের জন্য ২মি. ী ১.৫মি. ী ১মি. মাপের ৩ এমএম ফাসের নেটের হাপা বাশের খুঁটি দিয়ে মজবুত করে স্থাপন করতে হবে। একটি হাপা থেকে অপরটি ১মি. ফাঁক রেখে স্থাপন করতে হবে। প্রতিটি হাপার উপরের অংশে চারিদিক দিয়ে ৩০ সেমি. বহরের নীল নেটের একটি পৃথক বেড়া দিতে হবে যাতে হাপা থেকে ভাসমান খাবার বের হয়ে যেতে না পারে। পোনাকে খাবার দেয়া, পোনা পর্যবেক্ষণ করা, পোনার গ্রেডিং করার জন্য বাঁশের মাচা (ঈধঃং ডধষশ) তৈরি করতে হবে মজবুত করে। হাপা পানির উপরে ২০ সেমি. থাকলে চলবে। আগে বলা হয়েছে ভেটকি মাছ অক্সিজেনের প্রতি বেশ সংবেদনশীল এ জন্য নার্সারি পুকুরে একটি প্যাডেলহুইল এ্যারেটর স্থাপন করা ভাল।
নার্সারি পুকুরে প্রাকৃতিক খাবার উৎপাদন : হাপায় পোনা মজুদের আগে পুকুরে শতকে ১০০ গ্রাম টিএসপি এবং ৫০ গ্রাম হারে ইউরিয়া প্রয়োগ করতে হবে, পাশাপাশি প্রিবায়টিক্স (শতকে ২০০ গ্রাম মিহিকুড়া, ২০০ গ্রাম মোলাসেস ও ৫ গ্রাম ইস্ট একত্রে ১০ গুণ পানির সাথে মিশিয়ে ২৪ ঘণ্টা ভিজিয়ে প্রয়োগ করতে হবে) এর একটি ডোজ দিতে হবে যাতে পানিতে প্লাংটনের প্রাচুর্যতা বৃদ্ধি পায়।
পোনা মজুদ : অন্যান্য মাছের পোনা মজুদের সময় যেসব কাজ করতে হয় এখানেও সে কাজগুলো করতে হবে। এখানে বিশেষভাবে করণীয় হলো পোনা পরিবহনকৃত পানির লবণাক্ততা এবং নার্সারি পুকুরের পানির লবণাক্ততার সমন্বয় করে নিতে হবে। এ জন্য পলিথিনের পানি ধীরে ধীরে (১৫-৩০ মিনিট সময় নিয়ে) পরিবর্তন করতে হবে। পোনা ছাড়ার সময় পটাশ পানিতে গোসল করাতে হবে এবং হাপার ভেতর ধীরে ধীরে অবমুক্ত করতে হবে। পোনা ছাড়ার সময় পুকুরের এ্যারেটর চালু রাখতে হবে।
ভেটকি মাছের পোনার খাদ্য ব্যবস্থাপনা : পোনা মজুদের (১.০-১.৫ সেমি. আকারের) পর ৩-৪ ঘণ্টা পরে খাবার দেয়া শুরু করতে হবে। হাউজে বা হাপায় খাবার একভাবে দিতে হবে। একটি নির্দিষ্ট স্থান ঠিক করে নিতে হবে, সেখানে স্থিরভাবে বসে ধীরে ধীরে খাবার দিতে হবে। অন্য মাছের মতো ছিটিয়ে দিলে খাদ্য অপচয় হবে এবং পোনা অভুক্ত থেকে যাবে। চেষ্টা করতে হবে যেন কোন খাবার অপচয় না ঘটে। এ মাছ খাবার গ্রহণের সময় সকলে একসাথে জড়ো হয়ে যায় ফলে খাবার দিতে সুবিধা হয়, পোনা খাবার গ্রহণ করছে সেটা দেখা যায় এবং খাবার গ্রহণ শেষ হল কি না তাও সহজে বোঝা যায়। পোনার আকার অনুযায়ী খাবার সরবরাহ করতে হবে। খাবার প্রদানের সময় অতিরিক্ত শব্দ বা পানি নাড়াচাড়া করা যাবে না।
ছোট-বড় পোনা পৃথকীকরণ : পোনা প্রতিপালনের কিছু দিন পর পর পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং পোনার আকারের ব্যবধান বুঝে আকার অনুযায়ী ২-৩ ভাগে ভাগ করে পৃথক করে একই আকারের পোনা একটি হাপাতে মজুদ করতে হবে। পোনা পৃথকীকরণ একটি কঠিন কাজ, এ কাজটি ৩ ভাবে করা যায়। ১) একটি একটি করে ম্যানুয়ালি করা যেতে পারে; ২) বিভিন্ন আকারের ছিদ্র যুক্ত পাত্রের মাধ্যমে এবং ৩) গ্রেডার মেশিন দিয়ে। গ্রেডিং করার সময় কিছু সতর্কতা মেনে চলতে হবে যেমন, হাপা থেকে সাবধানে পানিসহ পোনা পাত্রে নিতে হবে, পোনার পাত্র মসৃন হতে হবে (এসএস এর তৈরি পাত্র হলে ভাল হয়); পোনা পানির উপরে না আনার চেষ্টা করতে হবে, পোনার গায়ে হাত না লাগানোর চেষ্টা করতে হবে, গ্রেডিং এর পরপরই বিকেসি অথবা পটাশ দিতে হবে হাউজে বা পুকুরের পানিতে। পোনার আকার বৃদ্ধি অনুযায়ী খাদ্য পরিবর্তন করতে হবে এবং হাপার ম্যাশের আকার বাড়াতে হবে। অর্থাৎ পোনা বড় হলে সে অনুযায়ী বড় ফাসের নেটের হাপা ব্যবহার করতে হবে। পোনা ৬০ গ্রাম আকারের হলে চাষের পুকুরে মজুদ করা যাবে, এ সময় এদের স্বজাতিভোজিতা স্বভাব কমে যায়।
পোনার আকার অনুযায়ী হাপার ম্যাশের আকার
পোনার আকার অনুযায়ী খাদ্যের ধরন
ছোট বড় পোনা পৃথক করণের সুবিধা : নিয়মিত গ্রেডিং করলে পোনার স্বজাতিভোজিতা কমানো যায়, যা এ পোনার বাঁচার হারের ওপর বিশেষ প্রভাব রাখে। এ মাছের পোনা তার দৈর্ঘ্যরে ৬০-৬৫% আকারের পোনা খেয়ে ফেলতে পারে। সময় মত, পরিমাণ মত খাবার খাওয়াতে পারলে স্বজাতিভোজিতা কমানো যায়।
অন্যান্য পরিচর্যা : পোনা প্রতিপালন চলা কালে পুকুরের পানির রং বুঝে ১৫-২০ দিন অন্তর প্রিবায়টিক্স প্রয়োগ করতে হবে যাতে পানিতে পর্যাপ্ত জুপ্লাংটন থাকে। মাসে একবার ভাল মানের প্রবায়টিক্স প্রয়োগ করতে হবে। পানির পিএইচ বুঝে চাষ চলা কালে কৃষি চুন শতকে ৩০০-৪০০ গ্রাম হারে প্রয়োগ করতে হবে। মাছের অনুপুষ্টির ঘাটতি পূরণের জন্য খাদ্যের সাথে ১০-১৫ দিন অন্তর ভিটামিন ‘সি’ সহ অন্যান্য ভিটামিন মিশিয়ে খাওয়াতে হবে। পোনার রোগ প্রতিরোধের জন্য মাসে একবার বিকেসি বা টিমসেন প্রয়োগ করতে হবে।
এ মাছের পোনা প্রতিপালন কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ যা আমাদের সৃজনশীল মৎস্যচাষিদের মাধ্যমে সহজলভ্য হবে। এ পোনা একটু বেশি স্পর্শকাতর হওয়ায় পোনার গ্রেডিং বা হাপা পরিবর্তনের সময় সাবধানে নাড়াচাড়া (ঐধহফষরহম) করতে হবে। এ মাছের চাষ অধিক লাভজনক হওয়ায় মাছ চাষিদের মাঝে দ্রুত সম্প্রসারিত হবে।
লেখক : প্রাক্তন বিভাগীয় উপপরিচালক, মৎস্য অধিদপ্তর, মোবাইল : ০১৭৫১৯৩৯৯৩২, ই-মেইল :ofaz2010@gmail.com