পরিবর্তীত জলবায়ুতে আমন ধান
চাষ ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা
পার্থ বিশ^াস
আমন চাষাবাদ অনেকটা প্রাকৃতিক বৃষ্টিনির্ভর। আমন মৌসুমে বার্ষিক বৃষ্টিপাতের শতকরা ৮০ ভাগ হয়ে থাকে, যা আমন ধান আবাদের জন্য যথেষ্ট। তবে বর্তমান সময়ে আবহাওয়ার বৈরি আচরণের কারণে বৃষ্টিপাত সময়মতো সমভাবে হয় না বিধায় প্রায়ই আমন ফসল খরার কবলে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আবহাওয়ার বৈরী আচরণের জন্য বৃষ্টিপাত ছাড়াও অন্যান্য নিয়ামক যেমন: তাপমাত্রা, আপেক্ষিক আর্দ্রতা এবং সূর্য কিরণের দৈর্ঘ্য আমন ধান উৎপাদনকে প্রভাবিত করে। এ ছাড়াও পোকামাকড় ও রোগ নির্ণয় এবং দমনে বিলম্বিত হলে ফলন কমে যায়। কৃষি পরিসংখ্যান বর্ষগ্রন্থ (২০১৯-২০২১) অনুযায়ী সারাদেশে মোট চাষকৃত আমন ধানের ৮০ ভাগই উচ্চফলনশীল আমন ধানের চাষ হয় যার গড় ফলন হেক্টরপ্রতি ২.৮২ মেট্রিক টন। সার্বিকভাবে হিসাব করলে হেক্টরপ্রতি আমন ধানের গড় ফলন ২.৫৩ মেট্রিক টন। তাই পরিবর্তিত জলবায়ুতে আবহাওয়ার গতিবিধি বিবেচনায় বিভিন্ন পরিবেশ উপযোগী উন্নত জাতের ব্যবহার, আধুনিক কৃষি তাত্ত্বিক পদ্ধতিতে আদর্শ চারা তৈরি, সঠিক সময়ে রোপণ, সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা, পোকামাকড় ও রোগ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে চাষাবাদ করে আমন ধানের ফলন বৃদ্ধির পাশাপাশি ভবিষ্যৎ কিছু সম্ভাবনা যেমন- শস্য নিবিড়তা ও মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করা সম্ভব।
আধুনিক জাতের ব্যবহার : ভিন্ন ভিন্ন কৃষি পরিবেশ অঞ্চল বা হটস্পট অনুসারে প্রতিকূল পরিবেশ উপযোগী জাত নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিকূল পরিবেশ উপযোগী জাতসমূহ যেমন- বিনাধান-৭, বিনাধান-১৬, বিনাধান-১৭, ব্রি ধান৫৬, ব্রি ধান৫৭, ব্রি ধান৬৬ এবং ব্রি ধান৭১ (খরা প্রবণ এলাকার জন্য); বিনাধান-১১, বিনাধান-১২, ব্রি ধান৫১, ব্রি ধান৫২ এবং ব্রি ধান৭৯ (জলমগ্নতা সহনশীল, বন্যাপ্রবণ এলাকার জন্য); বিনাধান-২৩, এবং ব্রি ধান৭৮ (জোয়ার-ভাটা প্রবণ লবণাক্ত এলাকার জন্য); এবং ব্রি ধান৭৫ ব্রি ধান৮০, ব্রি ধান৮৭ এবং বিনাধান-১৬, বিনাধান-১৭ (পাহাড়ি এলাকার জন্য)। সাথে সাথে অনুকূল পরিবেশ উপযোগী অঞ্চলে ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধি এবং লাভজনক শস্যবিন্যাসের জন্য উচ্চফলনশীল স্বল্প-জীবনকাল বিশিষ্ট জাত নির্বাচন অতি প্রয়োজন। স¦ল্পমেয়াদি জাত (জীবনকাল ১২০ দিনের কম) যেমন- বিনাধান-৭, বিনাধান-১৬, বিনাধান-১৭, বিনাধান-২২, বিনাধান-২৬, ব্রি ধান৫৬, ব্রি ধান৫৭, ব্রি ধান৬৬, ব্রি ধান৭১, ব্রি ধান৭৫, বিভিন্ন হাইব্রিড জাত ইত্যাদি।
আদর্শ চারা তৈরি : প্রতি একর জমির জন্য ১০-১২ কেজি বা এক বিঘা (৩৩ শতাংশ) জমির জন্য ৩-৪ কেজি ভালো মানের বীজ প্রয়োজন। বীজের অংকুরোদগম ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য পানিতে ভেজানোর পূর্বে ১-২ দিন রোদ দিতে হবে। পুষ্ট বীজ বাছাইয়ের ক্ষেত্রে দশ লিটার পানিতে ৩৭৫ গ্রাম ইউরিয়া সার মিশ্রিত করে ১০ কেজি বীজ ছেড়ে হাত দিয়ে নাড়াচাড়া করে পাত্রের নিচ থেকে ভারী বীজ তুলে পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। বীজ জাগ দেওয়ার পূর্বে ১ লিটার পানিতে ১ কেজি বীজ ১২-২৪ ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে পরে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে এবং শোধন করতে হবে। প্রতি ১০ কেজি বীজের জন্য ২৫ গ্রাম ভিটাভ্যাক্স-২০০ অথবা অটোস্টিন/নোইন/এমকোজিম ৫০ ডব্লিউপি (কার্বনডাজিম গ্রুপের) ব্যবহার করা যেতে পারে। বীজতলা তৈরির জন্য অপেক্ষাকৃত উঁচু ও উর্বর জমি নির্বাচন করতে হবে এবং ভালো করে চাষ ও মই দিয়ে কাদা কাদা করে জমি তৈরি করতে হবে। জমির দৈর্ঘ্য বরাবর ১ মিটার চওড়া বেড করে দুটি বেডের মাঝে ২৫-৩০ সেন্টিমিটার নালা রাখতে হবে যেন সেচ প্রদান ও অন্যান্য পরিচর্যা করতে সহজ হয়। প্রতি বর্গমিটারে ৮০-১০০ গ্রাম বীজ বপন করতে হবে (৫ শতাংশ বীজতলার জন্য ১০ কেজি বীজ বপন করতে হবে)। বীজ বপনের পর বেডের উপর ২ মিলিমিটার ফাঁকা নেট দিয়ে ঢেকে দিলে পাখির আক্রমণ সম্পূর্ণ রোধ করা যায়। তবে বীজ বপনের ৪-৫ দিন পর (চারা ২-৩ সেন্টিমিটার লম্বা হলে) নেট তুলে দিতে হবে। বীজতলায় সর্বদা নালা ভর্তি পরিমিত পানি রাখতে হবে যেন কোনভাবেই বেড ফেঁটে না যায়। বীজতলায় অতিরিক্ত পানি জমে থাকলে নিষ্কাশন করতে হবে অন্যথায় চারা বৃদ্ধি কমে যেতে পারে। সম্ভব হলে মাঝে মঝে জমে থাকা পানি বের করে নতুন পানি প্রয়োগ করতে হবে।
সার প্রয়োগ : কৃষি পরিবেশ অঞ্চল, ধানের জাত এবং জীবনকালের উপর ভিত্তি করে সারের মাত্রা নির্ধারণ করা হয়। স্বল্প ও মধ্যমেয়াদি জাতের ক্ষেত্রে বিঘাপ্রতি (৩৩ শতাংশ) ইউরিয়া ১৮-২০ কেজি, ডিএপি ৭-৮ কেজি, এমওপি ১০-১১ কেজি এবং জিপসাম ৮ কেজি। জমি তৈরির শেষ চাষে ১/৩ অংশ ইউরিয়া এবং সমস্থ ডিএপি/টিএসপি-এমওপি-জিপসাম প্রয়োগ করতে হবে। বাকি ইউরিয়া সমান ভাগে দুই কিস্তিতে প্রয়োগ করতে হবে: ১ম কিস্তি চারা রোপনের ১০-১৫ দিন পর এবং ২য় কিস্তি কাইস থোড় আসার ৫-৭ দিন পূর্বে প্রয়োগ করতে হবে। দীর্ঘমেয়াদী জাতের জন্য বিঘা প্রতি (৩৩ শতাংশ) ইউরিয়া ২৫-২৬ কেজি, ডিএপি ৮ কেজি, এমওপি ১৪-১৫ কেজি এবং জিপসাম ৯-১০ কেজি। জমি তৈরির শেষ চাষে সমস্থ ডিএপি/টিএসপি-এমওপি-জিপসাম প্রয়োগ করতে হবে। ইউরিয়া সমান ভাগে তিন কিস্তিতে প্রয়োগ করতে হবে: ১ম কিস্তি চারা রোপণের ৭-১০ দিন পর, ২য় কিস্তি চারা রোপণের ২৫-৩০ দিন পর এবং ৩য় কিস্তি কাইস থোড় আসার ৫-৭ দিন পূর্বে প্রয়োগ করতে হবে। ধানক্ষেতে ৩৫-৪০ দিন পর্যন্ত আগাছামুক্ত রাখতে পারলে ভালো ফলন পাওয়া যায়। বন্যাপ্রবণ অঞ্চলে আকস্মিক বন্যায় আমন ধানের জমি ডুবে গেলে সারের মাত্রা ও প্রয়োগ পদ্ধতি ভিন্নতর হবে। সেক্ষেত্রে জমি তৈরির সময় (ইউরিয়া বাদে অনান্য সার বিঘা প্রতি ডিএপি ৬ কেজি, এমওপি ৫ কেজি এবং জিপসাম ৪ কেজি) ও বন্যার পানি সরে যাওয়ার ১০ দিন পর (বিঘা প্রতি ইউরিয়া ৬ কেজি, ডিএপি ৩ কেজি এবং এমওপি ৩ কেজি) প্রয়োগ করতে হবে। জলমগ্ন সহিষ্ণু জাতের ক্ষেত্রে বন্যার পানি সরে যাওয়ার প্রথম ৭ দিন জমিতে নামা বা অন্য কোন পরিচর্যা করা যাবে না।
রোপণের সময় : কৃষি পরিবেশ অঞ্চল, ধানের জাত এবং জীবনকালের উপর ভিত্তি করে রোপণের সময় ভিন্ন ভিন্ন হবে। সাধারণত, স্বল্পমেয়াদি জাতের ক্ষেত্রে ২৫ জুলাই ২৫ আগস্ট (১০ ই শ্রাবণ থেকে ১০ ই ভাদ্র); মধ্য মেয়াদি জাতের ক্ষেত্রে ১৫ জুলাই- ১৫ আগস্ট (শ্রাবণমাস); এবং দীর্ঘমেয়াদি জাতের জন্য ১৬ জুলাই-১৫ মেপ্টেম্বর (১লা শ্রাবণ থেকে ৩১ ভাদ্র)। কিন্তু পরিবর্তিত জলবায়ুতে আমন ধান রোপণের সময় বর্তমানে খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং গবেষণায় দেখা গেছে, প্রাকৃতিক বৃষ্টিপাতের সর্বোত্তম ব্যবহার এবং ফলন বিবেচনায় ৩০ জুলাই আমন ধান লাগানোর ভাল সময়।
চারার বয়স ও রোপণের নিয়ম : সাধারণত আমন ধানের ক্ষেত্রে চারার বয়স ২০-২৫ দিন হতে হবে। তবে চারা বৃদ্ধি এবং অবস্থা ভেদে স্বল্পমেয়াদি জাতের জন্য ১৫-২০ দিন এবং দীর্ঘমেয়াদি জাতের জন্য চারার বয়স ২০-২৫ দিন হতে পারে। সারিবদ্ধভাবে বা লাইনে চারা রোপণ করতে হবে এবং সারি থেকে সারির দূরত্ব ২০ সেন্টিমিটার (৮ ইঞ্চি) ও গুছি থেকে গুছির দূরত্ব হবে ১৫ সেন্টিমিটার (৬ ইঞ্চি)।
সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা : ধানচাষে গড়ে ১১০০-১২৫০ মিলিমিটার পানি খরচ হয়। এই পানির কিছুটা গাছের খাদ্য তৈরিতে লাগে, কিছু অংশ বাষ্পীয় প্রস্বেদনের মাধ্যমে গাছ থেকে বের হয়ে যায় এবং সামান্য অংশ গাছের অভ্যন্তরীণ জৈবিক কাজে ব্যবহৃত হয়। কিছু অংশ মাটির উপরিভাগ থেকে বাষ্পাকারে উড়ে যায় এবং কিছু অংশ মাটির নিচের দিকে চুঁইয়ে যায়। পানির সাথে গাছ মাটি থেকে পুষ্টি উপাদান শুষে নেয় যা গাছের বৃদ্ধির জন্য খুব দরকার। ধানচাষে সেচ ও অন্যান্য ব্যবস্থাপনার কৌশলগত উদ্দেশ্য হলো, প্রতি একক জমিতে/পানিতে/শক্তির বিপরীতে শস্যের সর্বাধিক ফলন/মুনাফা। দক্ষতার সাথে পানি ব্যবহার ও অধিক ফলন নিশ্চিত করার জন্য কতকগুলো বিষয় বিবেচনা করা প্রয়োজন: পানি সাশ্রয়ী সেচ নালা তৈরি এরং ধান ক্ষেতের চতুর্দিকে আইল তৈরি; পানির অপচয় কমানোর জন্য জমি ভিজানোর পূর্বেই চাষ দেওয়া অথবা প্রথম ও শেষ চাষের মধ্যে সময় কমানো; চাষের সময় জমি সমান করা; আইলের ফাটল বন্ধ করা এবং আইলকে ১৫-২০ সেন্টিমিটার উঁচু করা; এবং এছাড়াও সকলে মিলে এক জায়গায় বীজতলা করলে অথবা পাশের জমির সাথে একসঙ্গে রোপণ করলে পানির অপচয় কম হয়। আমন ধান বৃষ্টিনির্ভর হলেও কাইচ থোড় এবং ফুল আসা পর্যায়ে প্রয়োজনের তুলনায় কম বৃষ্টিপাত হওয়ায় সম্পূরক সেচের প্রয়োজন হয়। বৃষ্টিনির্ভর ধানী ফসলে সাময়িকভাবে বৃষ্টির অভাবে খরাজনিত কারণে সেচ প্রয়োগ করাকে সম্পূরক সেচ বলে। গবেষণায় দেখা গেছে শুধুমাত্র একটি সম্পূরক সেচের মাধ্যমে প্রায় ৩০-৬০% ফলন বাড়ানো সম্ভব। সম্প্রতি বছরগুলোতে বৃষ্টিপাতের আচরণ অতি অসম বিধায় সম্পূরক সেচের সংখ্যা কৃষি পরিবেশ অঞ্চলভেদে একাধিক (৩-৪ টা) পর্যন্ত হতে পারে। ফলে ভালো ফলন নিশ্চিত করতে সেচ যন্ত্র, সেচ-নালা, ফিতা-পাইপসহ অনান্য সরঞ্জামাদি প্রস্তুত রাখতে হবে।
পোকামাকড় ও রোগ ব্যবস্থাপনা : কৃষি পরিবেশ অঞ্চল ভেদে আমন ধানের প্রধান পোকাগুলোর (মাজরা, পাতা মোড়ানো, সবুজ পাতা ফড়িং ও গান্ধী পোকা) আক্রমন ধানক্ষেতে ডালপালা স্থাপন বা পাখি বসার সুব্যবস্থা/আলোক ফাঁদ/সোলার লাইট ট্রাপের মাধ্যমে এবং চুংগি, বাদামি গাছফড়িং ও সাদা পিঠ গাছফড়িং পোকার আক্রমণ জমি থেকে পানি বের করে রোধ করা যায়। যদি পোকার আক্রমন অনেক বেশি হওয়ায় এভাবে দমন করা অসম্ভব হয়ে পড়ে তাহলে আবহাওয়ার গতিবিধি বিবেচনায় রেখে (টেবিল-১) অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ধানের পর্যায় অনুযায়ী অনুকূল আবহাওয়ার তথ্য বিভিন্ন আবহাওয়া বিষয়ক অ্যাপস এর সাহায্যে আগাম পাওয়া এবং সঠিক সময়ে ব্যবস্থা গ্রহন করা সম্ভব।
যেহেতু আমাদের দেশের প্রায় অধিকাংশ শস্যবিন্যাস আমন ধান কেন্দ্রিক। এই জন্য উচ্চফলনশীল-স্বল্প জীবনকালীন আমন ধান উপযুক্ত সময় লাগালে একটি তেল/ডাল ফসলকে অন্তর্ভুক্ত করে পরবর্তী বোরো ধান চাষ করা সম্ভব। যে সমস্থ অঞ্চলে আমন ধান কাটার পরও জোঁ আসতে বিলম¦ হয় সে সকল স্থানে আমন ধান কাটার ৪-৫ দিন পূর্বে স¦ল্প-জীবনকালীন সরিষা (যেমন- বারি সরিষা-১৪, বিনাসরিষা-৯) জমিতে ছিটিয়ে দিলে বিনা চাষে ভালো ফলন পাওয়া সম্ভব। সেক্ষেত্রে অনুমোদিত মাত্রার সার, বপনের ১২-১৫ দিন পর ছিটিয়ে দিতে হবে। মাটিতে পর্যাপ্ত রস থাকায় অতিরিক্ত কোন সেচের প্রয়োজন পড়ে না অর্থাৎ মাটি-পানির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত হয়। এভাবে তেলজাতীয় ফসলের আবাদ বৃদ্ধির মাধ্যমে যেমন ভোজ্যতেলের আমদানি হ্রাস করা সম্ভব হবে সাথে সাথে দুটি ধানের মাঝখানে একটি তেল/ডালজতীয় শস্য চাষাবাদের মাধ্যমে মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও শস্য নিবিড়তা বৃদ্ধি পাবে।
লেখক : বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, কৃষি প্রকৌশল বিভাগ, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা), ময়মনসিংহ-২২০২; মোবাইল : ০১৭২৭৬৫৬২১৬, ই-মেইল-parthi.biswas@gmail.com